Insane
নুন খাবেন কম, হার্টের রোগ, রক্তচাপ
হবে কম
এফএনএস হেলথ ডেস্ক :
অনেককে দেখেছি খাবার আগেই
পাতে নুন দিয়ে তারপর বসেন। কেউ
কেউ নুন
ঝাঁকুনি সক্ষমনে না থাকলে খেতেই
বসেন না।এছাড়া নোন্তা খাবার
যেভাবে খাচ্ছেন লোকজন, রোগ-
বালাইয়ের দোষ কি। এগুলো ঘাড়
মটকে খাবেই তো। আছে ফাস্টফুড,
নিমকি, আচার, নোন্তা বিস্কিটের
ছড়াছড়ি। প্যাকেটের খাবারও অনেকের
পছন্দ। অথচ বিজ্ঞানীরা দেখেছেন,
সোডিয়াম
বেশি বেশি খেলে ভবিষ্যতে হতে পারে
উচ্চ রক্তচাপ,
যা থেকে হতে পারে হার্টের রোগ ও
অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা। আমেরিকার
মতো দেশে মানুষ লক্ষণ ও নোনা খাবার
খায় অনেক বেশি। এবার সরকারেরও
টনক�ড়েছে। ফেডারেল সরকার বলছেন,
সুপার মার্কেট ও রেস্তরাঁর
খাবারে উচ্চমাত্রার লক্ষণকে নিরাপদ
নয় এমন সতর্কবাণী দিতে হবে আর
এজন্য খাদ্য ও ওষুধ সংস্থাকে (এফডিএ)
খাবারে লক্ষণ কতটুকু থাকা উচিত
সেক্ষমাত্রাও বেঁধে দেবার
কথা বলছেন সরকার।বলা হচ্ছে নুন কম
খেলে বছরে ১ লাখ মানুষের মৃত্যু
ঠেকানো যাবে। রিপোর্টটি লিখেছেন,
সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধ্যাপিকা ও ভূতপূর্ব এফডিএ কমিশনার
জেন ই হেনরি, �আমেরিকার জনগণের
এক বড় অংশ যে মাত্রায় লক্ষণ খান
তা মোটেই নিরাপদ মাত্রায় নয়।
�লক্ষণকে এখনও পর্যন্ত একটি নিরাপদ
খাদ্য উপকরণ হিসেবে গণ্য করা হয়
এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের
উৎপাদিত পণ্যে কি পরিমাণ
বা মাত্রার লক্ষণ দেবে এরও কোনও
সক্ষমা বেঁধে দেয়া নেই।
আমেরিকান কংগ্রেস তাই লক্ষণ গ্রহণ
হ্রাস করার কৌশল
বিবেচনা করতে গিয়ে পরামর্শ দেন
যে, এফডিএ'র নিয়ন্ত্রক ক্ষমতা আরোপ
করে বলুক যে, নির্দিষ্ট মাত্রার ওপর
সোডিয়াম খাওয়া নিরাপদ নয়,
এতে কোম্পানিগুলো বেশি নোনতা খাবার
বিক্রি করতে পারবে না।সমস্যা হলো,
মানুষের স্বাদকোরক আজকাল
নোনা খাবারে অভ্যস্ত, তাই লক্ষণ
খাওয়া কমাতে হবে ক্রমে ক্রমে।
ইতোমধ্যে স্বাদে অভ্যস্ত
হলে স্বাস্থ্যকর মানে পৌঁছে যাবে।
তবে নানা ধরনের খাদ্যে লবণের
যথাযথ মাত্রা নিরূপণের জন্য প্রয়োজন
গবেষণা। ডা. হেনরি বলেন- যেমন
আচার বেশ নোনা, তবে খাওয়া যায় খুব
অল্প পরিমাণে, অথচ রুটি খাওয়া হয়
বেশি। তাই এর লবণের মাত্রা নিশ্চয়
এ থেকে হবে ভিন্ন।
আমেরিকার এফডিএ স্বীকার করেছেন
খুব বেশি লক্ষণ খেলে অনেক স্বাস্থ্য
সমস্যা হয় এবং খাদ্য শিল্প
প্রতিষ্ঠানের
সঙ্গে বসে তারা খাদ্যে লবণের
মাত্রা হ্রাসের পদক্ষেপ নেবেন।
মুদিখানার দ্রব্য
প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান যারা প্যাকেজ
খাদ্যও তৈরি করেন এরা এফডিএকে এ
ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন। খাদ্য
শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো খুব সহযোগিতার
মনোভাব দেখিয়েছে।
তবে যাঁরা প্যাকেজড খাদ্য তৈরি করেন
এদের কিছু আপত্তিও আছে : যু্িক্ত হলো-
সোডিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণও
বটে, খাদ্যের ফ্লেভার ও সুবাস র?ায়
এর অবদান অনস্বীকার্য, খাদ্য
নিরাপত্তা ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও এর
ভূমিকা উল্লেযোগ্য। ইনস্টিটিউট অব
মেডিসিনের রিপোর্ট হলো অনেক
খাদ্যশিল্প প্রতিষ্ঠান
স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে উৎপন্ন
দ্রব্যে লবণের মাত্রা কমাচ্ছে এবং কম
লক্ষণ খাদ্যও
তৈরিতে মনোযোগী হয়েছেন।
প্যাকেটের খাদ্য ও রেস্তরাঁর
খাদ্যে লবণের
মাত্রা বেশি এবং বাইরের
খাবারে যে নুন তা প্রায়
শতকরা আশিভাগ।
ফেডারেল ডায়েট গাইডলাইন
হলো লোকজন দিনে ২৩০০ মিলিগ্রাম
সোডিয়ামের বেশি লক্ষণ গ্রহণ
করা ঠিক না। এ পরিমাণ সোডিয়াম
হলো এক চা চামচ লক্ষণ। সেন্টার ফর
ডিজিজ কনট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের
পরামর্শ- যাদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি,
এরা দিনে ১৫০০ মিলিগ্রাম
সোডিয়ামের বেশি গ্রহণ করা উচিত
নয়। আমেরিকানরা দিনে গড়ে লক্ষণ
গ্রহণ করেন ৩৪০০ মিলিগ্রাম।
আমাদের দেশের পরিসংখ্যান
জানা নেই। তবে নুন নিমক আমাদের
দেশের লোকও কম খান না। স্বাস্থ্যকর
খাবার, লক্ষণ কম খাবার
স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য বড় প্রয়োজনীয়।
আমাদের দেশেও বাড়তি লক্ষণ
খাওয়া অনুৎসাহিত করা উচিত।
এতে হার্টের রোগ, উচ্চ রক্তচাপ,
কিডনির রোগ কমবে।
আপলোড তারিখ : 2012-12-24